১) ভারতের রেমিটেন্স আয়ের ৫ম শীর্ষ উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ, বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ১ম ও ৩য় অবস্থানে আছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সউদী আরব ( http://www.priyo.com/2014/02/16/54308.html)।
২) ভারত বাংলাদেশে পন্য রফতানি করে প্রচুর বাণিজ্য করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অবাধে প্রবেশ করানো হচ্ছে ভারতীয় মালামাল। সরকারি হিসেবে ২০১৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৬.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে, সেখানে বাংলাদেশ ভারতে করে মাত্র ৪৫৬.৬৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। তার মানে ভারতের অনুকূলে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৫.৫৭ বিলিয়ন ডলার ( http://goo.gl/8jE4Kv)।
তবে বেসরকারি হিসেবে ভারত থেকে আরো বহুগুন পন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে, যার বেশিরভাগ হচ্ছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা।
৩) বাংলাদেশে অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্নকন্সট্রাকশন ফার্ম থাকার পরও যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার বানানো হলো ভারতীয় কোম্পানি সিমপেক্স ইনফ্রাস্ট্রাচারদিয়ে। ( http://goo.gl/9rDcQm)
৪) বাংলাদেশে বিদেশে রফতানিকারী ঔষধ কোম্পানি থাকলেও শিশুদের জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল বানানো হলো ভারতের বিতর্কিত ‘অলিভ হেলথ কেয়ার’র মত কোম্পানি দিয়ে। ( http://goo.gl/ 64ZBaZ)
৫) দেশি কোম্পানিগুলোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও দ্বিতীয় ভৈরব সেতু বানানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি ইরকন ও এফকন্সকে দিয়ে। ( http://goo.gl/KbXQjD)
৬) দেশি কোম্পানিগুলোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু বানানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পনি গ্যানোন ও এফএলসিএলকে দিয়ে। ( http://goo.gl/KbXQjD)
৭) বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ করে ( http://goo.gl/pDTgLO), ৩১২ কোটি টাকার ভ্যাকসিন আনা হয়েছে ভারতের অখ্যাত সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে। ( http://goo.gl/xcZ1DR)
৮) বাংলাদেশে অজস্র ছাপাখানা থাকলেও বোর্ডের বই ছাপানো হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানি গফ সন্স ইন্ডিয়া, ক্যালিকো, রেপপ্রো ইন্ডিয়ামত কোম্পানি দিয়ে । ( http://goo.gl/lDalr1)
৯) বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে ( http://goo.gl/RdyKng) ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে ( http://goo.gl/5RqneP)
১০) বাংলাদেশে অসংখ্যা রিয়েল স্টেট গ্রুপ থাকলেও ভারতের সাহারাগ্রুপ দিয়ে উপশহর বানানো হচ্ছে। ( http://goo.gl/1vnRTd)
১১) ভারতের নিম্নমানের রেল ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে উচ্চমূল্য দিয়ে। ( http://goo.gl/PWvuax)
১২) বাংলাদেশের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বাস-ট্রাক কেনা হচ্ছে ( http://goo.gl/0jAEuF)
১৩) বাংলাদেশে চাল পাচার করে ( http://goo.gl/xl5GxB)
ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ( http://goo.gl/fvGqQH)
১৪) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হচ্ছে ডেমু ট্রেন। ( http://goo.gl/21ZbZu)
১৫) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হচ্ছে তেল ট্যাঙ্কার। ( http://goo.gl/ZyM97Q)
১৬) অনুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে কেনা হচ্ছে ড্রেজার। ( http://goo.gl/J4ZW1u)
১৭) বাংলাদেশে কোম্পানিগুলোকে ইচ্ছাকৃত অনুন্নত রেখে ভারতের অতিনিম্নমানের ওএনজিসি নামক কোম্পানিকে সাগরে গ্যাস উত্তোলন করতে দেয়া হয়েছে। ( http://goo.gl/rpTDsP)
১৮) বাংলাদেশ পারলেও আমাদের নৌ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। ( http://goo.gl/V9I6rE)
উপরের তথ্যগুলো দেখলে সহজেই অনুধাবন করা যায়, বাংলাদেশে কাজ করার যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকার পরও ভারতীয় দালালদের কারণে বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে ভারত। এবং সেই টাকা দিয়েই বেচে আছে ফকিরন্নি ভারত। কেননা:
–ভারতে ৩৮ শতাংশ বা ৪০ কোটি লোক চরম দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করে (২০০৯ সালে হিসাব, এখন আরো বেড়েছে)
— ভারতের অর্ধেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে প্রাকৃতিক কর্ম সারে;
–পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দারিদ্র লোক বাস করে ভারতে
–ভারতের ৪২ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার (মনমোহনের ভাষায় জাতীয় লজ্জা)
–ভারতে প্রতিদিন অপুষ্টির শিকার হয়ে মারা যায় ৩ হাজার শিশু
–পৃথিবীর ৪০ শতাংশ অপুষ্টিতে ভোগ লোক বাস করে ভারতে;
–ভারতে প্রতিদিন ক্ষুধা পেটে নিয়ে ঘুমাতে যায় ৩২ কোটি লোক;
–ভারতে ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ মাটি, কুকুরের দুধ এমনি মাটির নিচে কবর দেয়া মৃত প্রাণী পর্যন্ত ভক্ষণ করে।
বাংলাদেশ যদি ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে না খেয়ে মারা পড়বে ফকিরন্নি ভারত। কারণ বাংলাদেশকে চুসে চুসে খেয়েই বর্তমানে বেচে আছে তারা। তাই যেসব বাংলাদেশী দালাল ভারতকে এ ধরনের সুযোগ করে দিচ্ছে তাদেরকে আগে ভারত পাঠিয়ে দিতে হবে, তবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব।
(ইন্ডিয়ান মালুদের সর্ব ভাবে বয়কট করুন )
আল-হেরার আলো 